একসময় যাঁরা মাদকাসক্ত ছিলেন, তাঁরাই এখন বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের মালিক। এই কেন্দ্রটির চিকিৎসাও ব্যয়বহুল। দেওয়া হয়না সঠিক চিকিৎসা। এখানে চিকিৎসার নিয়মকানুন মানা হয় না। এখানে দেখা যায় এটি একটি নামভিত্তিক সংগঠন এবং তাদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষিত কর্মী নেই।
পটুয়াখালী আবাসিক হোটেল video |
ছবি ব্যবস্থাপনা পরিচাল 👇
অভিজ্ঞ ডাক্তার ও নার্স এবং দক্ষতার অভাবে মাদকাসক্তরা থেকে যাচ্ছে চিকিৎসার বাইরে।
এই মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও অন্যান্য লোকবলের ঘাটতি অত্যন্ত প্রকট।
জানা যায়, মাদকাসক্ত চিকিৎসার নামে স্থানীয় গুন্ডা-পান্ডার সহযোগিতায় এখানে অনৈতিক কাজ সংঘটিত হয়।
পরিবেশ এমন শোচনীয় যে রোগীদের নানা ধরনের রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, মাদকাসক্তি নিরাময় এই কেন্দ্র একেকজন একেক পদ্ধতিতে চিকিৎসা দিচ্ছেন। কেউ আটকে রাখছেন, আবার কেউ মারধর করাটাকে চিকিৎসা বলছেন। এগুলো আসলে কোনো চিকিৎসা নয়।
আরো পড়ুন 👇
সিকদার আবাসিক হোটেলে গায়ে পেট্রোল ঢেলে হত্যা
মাদকাসক্তি শনাক্তে ডোপ টেস্টের ব্যবস্থা নেই। মৌখিক স্বীকারোক্তি অথবা অভিভাবকের কথার ভিত্তিতে রোগী ভর্তি করা হয়।
এই নিরাময় কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা মানসিক হাসপাতাল বলে মনে করেন। এ কারণে কেন্দ্রগুলোতে মানসিক রোগী ভর্তি হতে দেখা যায়।
মাদকাসক্তি এবং মানসিক রোগ দুটি সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। এটি একজন মাদকাসক্ত রোগীর উপর মানসিক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই ডোপ টেস্ট নিশ্চিত করা জরুরী।
কিন্তু বেশিরভাগ সময় সেটি করা হয় না তাহলে কিভাবে ওই কেন্দ্রগুলোর কর্মকর্তারা বুঝতে পারেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগিটি মাদক সেবী, তাহলে এটাতো মন্তব্য করাই যায় যে, মাদক নিরময় কেন্দ্রগুলোর আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়া।
শুধু তাই নয় মাঝে মাঝে এমনটাও হয় যে কোন লোক যেকোনো ব্যক্তিকে, আপনজন পরিচয় দিয়ে এই কেন্দ্রগুলোতে রোগী ভর্তি করিতে পারেন, সে মাদক শিবি কিনা সেটাও যাচাই-বাছাই করেন না এই মাদক নিরাময় কেন্দ্রগুলো।
মানুষের মধ্যে মাদক চিকিৎসা সম্পর্কে বোঝার ভুল রয়েছে। মাদকাসক্তদের একটি স্বাস্থ্যকর এবং অর্থবহ জীবনের দিকে পরিচালিত করার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞানেরও অভাব রয়েছে। যা কার্যকরী কোনো সুফল দেয়না। তাই এসকল কেন্দ্রে নিয়মিত সমন্বিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা উচিত।
পটুয়াখালী স্বপ্ন মাদক নিরাময় কেন্দ্রের জরুরী চিকিৎসার প্রয়োজন
আরো করুন 👇
পটুয়াখালীর মাদক সম্রাট শাহালোম আটক
একটি বৈশ্বিক প্রতিবেদনে জানা যায়, মাদকাসক্তির ফলে বিশ্বে প্রায় দুই লক্ষ জন মানুষ মৃত্যুবরণ করে। মাদকাসক্তদের মধ্যে ছাত্র, পেশাজীবী, ব্যবসায়ী, শ্রমিক, রিকশাচালক এবং অন্যান্য পেশার মানুষেরাও রয়েছে। এমনকি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, নিরাপত্তা ব্যবস্থার সাথে সংশ্লিষ্টরাও মাদকে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। সমাজের প্রতিষ্ঠিত নেতারাও মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। শিক্ষক এবং চিকিৎসক যারা মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ভূমিকা পালনের কথা তারাও কোন না কোনভাবে মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। সরকারি নিরাময় কেন্দ্রগুলোর খুবই কমসংখ্যক মাদকাসক্তের চিকিৎসা দেওয়ার সামর্থ্য আছে। বলা বাহুল্য, সেই চিকিৎসার মানও ভালো নয়।
যে কারণে প্রাইভেট ও বেসরকারি মাদক নিরাময় কেন্দ্রগুলোতে মাদক সেবীদের পাঠাতে অভিভাবকদের আগ্রহ বেশি, যা মাদক শিবিদের, পরিবাররা বুঝে ওঠার আগেই দেখা যায় অনেক টাকা বিল পরিশোধ করে ফেলেছেন তখন আর কিছু বলার থাকে না।
সূচনাঃ
মাদক এক ভয়ানক অস্ত্র যার প্রভাবে একটি মানবিক রাষ্ট্র গঠন প্রক্রিয়া মারাত্মকভাবে ব্যহত হয়। আন্তর্জাতিকভাবে মাদকাসক্তি মারাত্মক ব্যাধি হিসেবে পরিগণিত। মাদকের ক্ষতিকর মানসিক ও স্বাস্থ্যগত প্রভাবে সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়ছে আধুনিক রাষ্ট্রের উন্নয়ন। প্রমান পাওয়া যায় একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি একটি পরিবার ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট।
পুনরায় বরিশাল রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ পটুয়াখালী সদর থানা।
বাংলাদেশে মাদকের ভয়ানক বিস্তার যত শক্ত অবস্থান তৈরি করছে এর বিপরীতে যথাযথ চিকিৎসা কিংবা নিরাময়ের ব্যবস্থা ততটা জোরদার করা যাচ্ছে না। সারাদেশে মাদকাসক্তির সমস্যা যতটা ব্যপক, এর সমাধানের জাতীয় উদ্যোগ সে তুলনায় একেবারেই ক্ষুদ্র এবং মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা খুবই নগন্য। বাস্তবতা হল বেশিরভাগ নিরাময় কেন্দ্রকে অনেক সময় একটি ভবনের ভেতরে জেলখানার মতো মনে হয়। সেখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসক থাকে না। সেবা দানকারীদের মধ্যে প্রায়শই মাদকাসক্তদের প্রতি অপরাধী হিসেবে আচরণ করার প্রবণতা রয়েছে।
তথ্য ও উপাত্তঃ
বাংলাদেশে মাদকাসক্ত মানুষের সংখ্যা কত, এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। তবে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের তথ্যমতে দেশে মোট মাদকাসক্তের সংখ্যা ৫৬ লাখের বেশি হতে পারে। কিন্তু ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের ফরেনসিক ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের এক গবেষণা জরিপের সূত্রে সংখ্যাটি ৬৬ লাখ।
স্বপ্ন পটুয়াখালী মাদকাসক্ত চিকিৎসা সহায়তা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র, স্থান বন্ধুজন ভবন হেতালিয়া বাঁধঘাট পটুয়াখালী। তবে এটি তাদের নিজস্ব ভবন নয় ভাড়ায় নেয়া ভবন।
পর্ব ২ এ থাকছে
পটুয়াখালীর স্বনামধন্য একটি মাদ্রাসা থেকে এক ছাত্রকে পুলিশের হ্যান্ডকাপ পরিয়ে আটক করে নিয়ে আসেন স্বপ্ন মাদক নিরাময় কেন্দ্রে, জানেন না পিতা-মাতা ও মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে তোলপাড় ওই ছাত্রের অভিভাবক ও মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ এক পর্যায় সেই ছাত্রকে উদ্ধার করা হয় স্বপ্ন মাদক নিরাময় কেন্দ্র থেকে, দেখবেন উক্ত বিষয় বিস্তারিত।
© Your Company Sadhin BanglaTV
Sadhin Banglatv Hlead office Dhaka